তুলশীমালা চাউলের বিফ তেহারি

রান্না আসলেই একটা আর্ট, যা একজন শিল্পীর কাজ বলে আমি মনে করি। কারণ সাধনা না করলে রান্না যখন তখন করা সম্ভব হয় না। একটা সময় এটাই আমার মনে হত। তবে এই রান্না যে আর্ট এটা এখন আর তেমন কঠিন কিছু মনে হয় না। কারণ সাধনা করতে করতে এখন পাক্কা রাধুনি হয়ে গিয়েছে বলে আমি নিজেই মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। তবে এই রাধুনির রান্নার স্বাদ বহুগুণে বাড়িতে দিতে কিন্তু চাল, তেল, মসলাও ভালো হতে হয়। যা এই বিফ তেহারির স্বাদই কথা কয়।

Tulshimala Rice, Gurer Sandesh, Chanar payesh, Monda
যে পণ্যগুলো আওয়ার শেরপুর এ পাওয়া যায়।

যাই হোক গত কয়েকদিন আগে আমার একজন স্পেশাল মানুষের স্পেশাল দিনে তাকে সারপ্রাইজ দিব বলে কি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ সে খুব খুঁত খুঁতে একজন মানুষ। তার যেমন তেমন জিনিস পছন্দ নয়। তাকে কোন কিছু গিফট দিতেও ভয় করে। যদি তার পছন্দ না হয়? সেটা নিয়েই বেশি টেনশন, তার বিশেষ দিনে তাকে কি দেওয়া যায়? তখন মাথায় আসলো গিফট বাদ দিয়ে সে ত একবাক্যে আমার হাতের রান্না খুব পছন্দ করেন। তাই তাকে তার পছন্দের আমার হাতের বিফ তেহারি রান্না করে খাওয়াবো। আর এটাই হবে তার জন্য আমার তরফ থেকে তার বিশেষ দিনের গিফট।

তখন আবার টেনশন আসলো পোলাও এর চাউল নিয়ে। কারণ বিফ তেহারির জন্য চাউলটা আমার কাছে মেইন উপকরণ বলে মনে হয়। আমি সব সময়ে চাষি চিনিগুড়া চাউল দিয়ে করতাম। কিন্তু আমি এবার করবো একটু ভিন্ন স্বাদের চাউল দিয়ে। আর সেটা হলো আমাদের সবার চিনা শেরপুরের তুলশীমালা চাউল। টেনশনের কারণ হাতে সময় একদমই কম। এত কম সময়ের মধ্যে চাউলটা অর্ডার করলে পাব কিনা। হাতে মাত্র ৩ দিন ছিলো। ঠিক তখনই সকল টেনশনের অবসন কাটিয়ে আমার জেলাত Md Daloare Hossain একটা দারুণ অফার দিলেন তুলশীমালা চাউলের উপর। তখন আর কোন দিকে না তাকিয়ে অর্ডার করে দিলাম ভাইয়ার উদ্যোগের স্পেশাল দিন উপলক্ষ্যে আমার স্পেশাল মানুষের বিশেষ দিনে গিফট হিসেবে আমার হাতের রান্না করা বিফ তেহারির করার জন্য তুলশীমালা চাউল।

তুলশীমালা চালের প্রশ্ন

আর ভাইয়া খুব আন্তরিকতার সাথে অর্ডার নিয়ে একদমই আমার দেওয়া সময়ের আগেই আমার কাছে পৌঁছে দেয় এই তুলশীমালা চাউল। ভাইয়ার প্যাকেজিং এবং সার্ভিস আমি ১০ এ ১০ দিলাম।

এবার যদি স্বাদের কথায় আসি এই তুলশীমালা চাউলের বিফ তেহারির তাহলে এককথায় অসাধারণ হয়েছে। আমার স্পেশাল মানুষও খুব প্রসংশা করেছে এই চাউলের। তবে চাউলটা নতুন হলে আরো বেশি সুঘ্রাণ আসতো সেটা বললো। সব কিছু মিলিয়ে তুলশীমালা চাউল রান্না করে খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো। আর খেতেও দারুণ দেলওয়ার ভাইয়া এই চাউল। আর বেশি কিছু বলা লাগবে না আশা করি। কারণ ছবিই তার প্রমান কতটা স্বাদ হয়েছে এই তুলশীমালা চাউলের বিফ তেহারি। ইনশাআল্লাহ আরো অনেক পদ তৈরি করে স্বাদ গ্রহণ করার ইচ্ছে আছে এই চাউল দিয়ে। আর যতবার বিভিন্ন পদ করবো ততবারই রিভিউ নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।

তুলশীমালা চাউলের বিফ তেহারি
তুলশীমালা চাউলের বিফ তেহারি

পোস্ট সূত্র: ফেসবুক

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top