শিশুর প্রথম সলিড খাবার তুলশীমালার জাউ ভাত

শিশুর প্রথম সলিড খাবার হিসেবে মায়েরা বেঁছে নেন জাউ ভাত। কারণ গত ৬ মাস খাদ্য চাহিদা মিটিয়েছে বুকের দুধ খেয়ে। যাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে মায়ের নতুন একটা পৃথিবী! এই নবজাতকই মায়ের প্রশান্তির উৎস। খেলার সাথী কিংবা মায়ের ভাবনার খোরাক। মায়ের এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য দরকার হয় নবজাতক থেকে শিশু, এরপর বালক বালিকা থেকে যুবক যুবতি হওয়া…।

একজন মায়ের বেশির ভাগ সময় কাটে শিশুর খাবারে চিন্তা-দুশ্চিন্তা নিয়ে। কারণ বয়স বাড়ার সাথে খাবারের চাহিদা বাড়ে। আবার নবজাতকের বিকাশ ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন হয় পুষ্টিকর ও শক্ত খাবার। তাই মায়েরা শিশুর নানি-দাদি থেকে পরামর্শ পেয়ে কিংবা নিজের মাতৃত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে নবজাতকের মুখে সলিড খাবার হিসেবে তোলে দেন জাউ ভাত। এর মধ্য দিয়ে নবজাতকের জন্য শুরু হয় জীবনের নতুন আরেকটা জার্নি। জাউ ভাতের পর খিচুড়ি কিংবা অন্যান্য খাবার গ্রহণের মাধ্যমে অতিবাহীত হয় শিশুর বাড়ন্তকাল।

৬ মাসের বাচ্চার খাবার
তুলশীমালা চালের তৈরি খাবার সাগ্রহে খাচ্ছে শান। ছবি : কাকলী তালুকদার

জাউ ভাতের জন্য তাদের পছন্দের তালিকায় তুলশীমালা চাল থাকার কারণ কী? চলুন তা নিয়ে এবার জানার চেষ্টা করি।

ধানের আলাদা একটি জাত তুলশীমালা। এটি শতাধিক বছর ধরে আমন মৌসুমে উৎপাদন হয় শেরপুরে। কৃষকদের দাবি তুলশীমালা ধান উৎপাদনের সময় সার প্রয়োগ করলে ফলন কমে যায়। যদিও অন্যান্য যেকোন ধানের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেও তুলশীমালা ধানের ফলন কম হয়। সেখানে সার প্রয়োগের মাধ্যমে ফলন আরও কমিয়ে নিয়ে প্রকৃত পক্ষে কৃষকের লস। তুলশীমালা ধানের শতভাগ চাল হয় আতপচাল। তাই এই ধানের যে হালকা ঘ্রাণ আছে তা অক্ষত থেকে যায়। খাবার চাইলে কিছুটা নরম রাখা যায় এবং অন্য যেকোন চালের চেয়ে স্বাদ হয় আলাদা। তাই জাউ ভাতের জন্য একজন মায়েদের পছন্দের তালিকায় থাকে শেরপুরের তুলশীমালা চাল

শিশু খাদ্য তুলশীমালার খিচুড়ি
শিশু খাদ্য তুলশীমালার খিচুড়ি

তুলশীমালা চালের খাবার নিয়ে মায়েদের অভিমত

  • মাশিয়াত মাসুদ মুমু : “…৬ মাসের পর থেকেই খাওয়ানো যাবে।”
  • ফারজানা আক্তার এলিজা : “তুলশীমালা চাল সুগন্ধি যুক্ত এবং গ্যাস্ট্রিক হয় না। এটা বেবিদের ৬ মাস থেকেই দেওয়া যায়। যেসব বাচ্চা মাঝেমধ্যে কিছু থেকে কিছু হলেই পেট নরম হয়, তাদের স্টমাক স্ট্যাবল রাখতে হেল্প করে।”
  • সিরাজুম মুনিরা : ”মেহরিমা বয়স ১৭ মাস। তুলশীমালা চালের খাবার দিয়ে কোন সমস্যা দেখিনি এই এক মাসে।”
  • সিদরাত ফারজানা আঁখি : “আমার মেয়েকে (তুলশীমালা) চাল হাতে পাওয়ার পর থেকে খাওয়াচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, কোন সমস্যা হচ্ছে না। মেয়ে খাচ্ছেও মজা করে।”
  • সাদিয়া নেওয়াজ সানি: ”৬ মাস থেকে যেকোনো বয়সে দেওয়া যায়।”
  • ফারহানা কানন লাখী : “ছয় মাসের পর থেকে বাচ্চাদের এই চাল দেওয়া যাবে।”

আপনার কলিজার টুকরার মুখে প্রথম সলিড খাবার জাউ ভাতের জন্য কোন চাল ব্যবহার করেছিলেন কমেন্ট বক্সে লিখবেন প্লিজ?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top